Select Page

সালমানের মৃত্যু রহস্য উম্মোচনে পিবিআই

সালমানের মৃত্যু রহস্য উম্মোচনে পিবিআই

Salman (22)

সালমান শাহর মৃত্যু রহস্যের জট খোলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা ৬ ডিসেম্বর বাদী পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

বিচারক পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ নিহত হন। সে সময় তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন।

১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানের বাবা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে সিএমএম আদালতে একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।পরবর্তী সময়ে একই বছরের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করেন সিআইডি। একই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত সিআইডি পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।কিন্তু সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে সালমানের বাবা সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন।

ওই রিভিশন মামলার ওপর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটিকে ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।এর পর প্রায় ১২ বছর ধরে এ মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিকাশ কুমার সাহার কাছে মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।পরবর্তী সময়ে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে আরেকটি নারাজি দাখিল করেন।

যার শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি র‌্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। যা পরে ঢাকার বিশেষ জজ ৬ এর বিচারক ইমরুল কায়েস মঞ্জুর করেন। ফলে মামলাটি নিম্ন আদালতে শুনানির জন্য আবারো পাঠানো হয়।


মন্তব্য করুন