Select Page

আলমগীরের সিনেমায় রুনা লায়লা সুরকার, গায়িকা আঁখি

আলমগীরের সিনেমায় রুনা লায়লা সুরকার, গায়িকা আঁখি

৫২ বছরের সংগীতজীবনে দেশে ও দেশের বাইরে বহু সুরকার ও সংগীত পরিচালকের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রুনা লায়লা। প্রখ্যাত এই গায়িকা এবার সুর সৃষ্টির পাশাপাশি সংগীত পরিচালনাও করলেন। রুনার সুর করা গানটির কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। আর এতে কণ্ঠ দিয়েছেন আঁখি আলমগীর। আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবিতে গানটি ব্যবহৃত হবে। ঠোঁট মেলাবন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

গানটি নিয়ে প্রথম আলোকে রুনা লায়লা বলেন, ‘একদিন আড্ডায় আঁখি আমাকে বলেছিল, “আপনি এত গান গেয়েছেন, কিন্তু সুর করেন না কেন? আপনি একটা গানের সুর করেন, আমি গাইব।” সুর সৃষ্টি খুব কঠিন ব্যাপার। আমি কোনো দিন তা করিনি। আমার একটা ভয়ও ছিল। তারপরও বলেছিলাম, আচ্ছা দেখি চেষ্টা করব।’

রুনা লায়লা বললেন, ‘একদিন মুখটা করলাম, তারপর আলমগীর সাহেবকে শোনালাম। প্রথমে কিছু বলেনি। কদিন পরে এসে বলল, “অন্তরাটা করেছ?” আমি বললাম, না, অন্তরা তো করিনি। তুমি তো কিছু বলোনি। আলমগীর সাহেবের আগ্রহ দেখে তখন সেখানেই বসে অন্তরাটা তৈরি করে ফোনে রেকর্ডও নিলাম। শোনানোর পর বলল, “সুরটা তো খুবই ভালো হয়েছে।”’ অভিনেতা আলমগীর বলেন, ‘হঠাৎ করেই পুরো ব্যাপারটা ঘটেছে। ৫২ বছর ধরে রুনা গাইছে, এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। শুধু বলব, এটা অনেক বড় একটা অর্জন।’

কেমন গেয়েছেন আঁখি আলমগীর?—জানতে চাইলে সুরকার রুনা লায়লা বলেন, ‘সাধারণত আঁখি যে ধরনের গান গেয়ে অভ্যস্ত, তা থেকে নতুন গানটি একদমই অন্য রকম। আঁখি যথেষ্ট খাটুনি দিয়ে গেয়েছে। আমার সঙ্গে পাঁচ দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহড়া করেছে। যা বলেছি তা মেনেছে। আমি তাকে বলেছিলাম, এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নাও, সে নিয়েছেও তাই।’

‘গল্প কথার ওই কল্পলোকে জানি, একদিন চলে যাব, কোথায় শুরু আর শেষ হবে কোথায় সে কথা বলে যাব’—এমন কথার গানটিতে কণ্ঠ দিতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত আঁখি আলমগীর। তার কথায়, ‘এই গানের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের অংশ হতে পেরেছি। এই গানের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা সবাই একেকজন কিংবদন্তি। দুই মাসের প্রস্তুতিতে এই গানটি করেছি। গান গাওয়ার আগের পুরো দুই মাস যেখানেই সময় পেতাম গানটি গাইতাম। রুনা আন্টির কাছ থেকেও ভীষণ সাপোর্ট পেয়েছি। তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করেছেন।’

সূত্র : প্রথম আলো


মন্তব্য করুন