Select Page

২০১৮ সালের সেরা ছবিগুলো

২০১৮ সালের সেরা ছবিগুলো

বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর অনেক কম ছবি মুক্তি পেয়েছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে। বোঝাই যাচ্ছে অবস্থা খুব একটা ভালো না। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি মানসম্মত ছবি আমরা পেয়েছি, যার দরুণ মধ্যবিত্তরা ধীরে ধীরে হলমুখী হওয়া শুরু হয়েছে।

একদিকে যেমন ভালো কিছু করার চেষ্টা চলছে, তেমনি অন্যদিকে এমন কিছু ছবি এবছর মুক্তি পেয়েছে, যেগুলো আমাদেরকে ৪০ বছর পেছনে ফেলে দিচ্ছে। এ বছর হাতেগোনা কয়েকটা বাদে প্রায় সবগুলো ছবিই আমি দেখেছি, নিয়মিত রিভিউও দিয়েছি।

গত সপ্তাহে আমার দেখা কিছু বাজে ছবির লিস্ট দিয়েছিলাম আজ দিচ্ছি আমার দেখা এবছরের ভালো ছবিগুলো। আশা করি পুরোটা পড়বেনঃ

১০. বিজলী : সুপারন্যাচারাল এ্যাকশন ঘরানার এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন ইফতেখার চৌধুরী। তিনি এর আগে “দেহরক্ষী”, “অগ্নি”, “অগ্নি ২”, “রাজত্ব” সহ বেশকিছু দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দিয়েছেন। এ ছবিতে প্রধান চরিত্রে আছেন ইয়ামিন হক ববি; এছাড়া পার্শ্বচরিত্রে আছেন নবাগত রনভীর, শতাব্দী রায়, মিশা সওদাগর, জাহিদ হাসান, টাইগার রবি, শিমুল খান, আনিসুর রহমান মিলন, দিলারা জামানসহ একঝাঁক তারকা অভিনেতা! ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বড় বাজেটের এইছবিটি প্রযোজনা করেছে ববস্টার ফিল্মস।

ছবিটি ১৩ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মুক্তি পায়। এ ছবির গানগুলো ছিল মুক্তির আগেই হিট! দেশের প্রেক্ষাপট অনুসারে ছবির ভিএফএক্স দারুণ হয়েছে। এছাড়া এ্যাকশন কোরিওগ্রাফি, বিজিএম, সিনেমাটোগ্রাফিসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল দিকেও যত্নের ছাপ ছিল। ছবিটি এখন আইফ্লিক্স (Iflix) এ্যাপে পাওয়া যাচ্ছে।

৯. কমলা রকেট : এটি ড্রামা মুভি; পরিচালনা করেছেন নবীন পরিচালক নূর ইমরান মিঠু, যাকে আমরা “পিপড়াবিদ্যা” ছবিতে অভিনয় করতে দেখেছিলাম। এ ছবিতে আছেন তৌকীর আহমেদ, মোশাররফ করিম, জয়রাজসহ আরো অনেকে। প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।

ছবিটি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে মুক্তি পায়। ছবিটিতে একটি রকেট স্টিমারের যাত্রাপথে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের মানুষের ঘটনাবলী তুলে ধরা হয়েছে। তৌকীর আহমেদ এবং মোশাররফ করিমের দূর্দান্ত অভিনয় ছিল; বিশেষ করে যারা কমেডিয়ান মোশাররফ করিমের ফ্যান তাদের জন্য এছবি মাস্টওয়াচ!

৮. কালের পুতুল : বিখ্যাত লেখক অগাথা ক্রিস্টির জনপ্রিয় উপন্যাস “And Then There were None (১৯৩৯)”; নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই? সাসপেন্স-ক্রাইম-থ্রি­লারধর্মী এই উপন্যাসটি ভিত্তি করে ১০/১২ টি ছবি রয়েছে। এই উপন্যাসের বাংলা সংস্করণ হলো “কালের পুতুল”, পরিচালনা করেছেন নবীন পরিচালক আকা রেজা গালিব। অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, শাহেদ আলী, জান্নাতুন নূর মুন, বড়দা মিঠু, রাইসুল ইসলাম আসাদ, লুৎফর রহমান জর্জসহ একাধিক জাত অভিনেতা।

দারুণ থ্রিলে ভরা গল্প আপনি শেষ ক্লাইম্যাক্সের আগে কোনভাবেই ১০০% ধরতে পারবেন না, যদি আপনার উপন্যাসটি সম্পর্কে ধারণা না থাকে। এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।

ছবিটি মুক্তি পায় ৩০ মার্চ। দুঃখজনক হলেও সত্য এমন একটি ছবি বাজে মার্কেটিং পলিসির কারনে ৫/৬ টি হলের বেশি চলেনি। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, এই একটা নামই যথেষ্ট ব্যর্থতার কারণ বোঝার জন্য। ছবিটি বর্তমানে চ্যানেল আই (Channel I) এর ইউটিউব চ্যানেলে খুজেঁ পাবেন।

৭. স্বপ্নের ঘর : পরিচালক তানিম রহমান অংশুর প্রথম সিনেমা “আদি” নিয়ে আমরা মুভিলাভাররা আজও আক্ষেপ করি। হয়তো এই ছবি দিয়েই নায়ক এবিএম সুমনের ক্যারিয়ার একটা অন্যরকম বুস্ট পেতো, খুব দ্রুতই তার ফ্যানবেজ তৈরী হতো। “স্বপ্নের ঘর” এই পরিচালকের দ্বিতীয় সিনেমা, মুক্তির দিক থেকে প্রথম। সাসপেন্স-হরর ঘরানার এই ছবিটি প্রযোজনা করেছে তাকী খান ফিল্মস। অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, জাকিয়া বারি মম, শিমুল খান, কাজী নওশাবা আহমেদ, মেহেদী হাসান পিয়ালসহ আরো অনেকে।

ছবিটি মুক্তি পায় ২১ ডিসেম্বর। কালোজাদুর প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা এই ছবিতে দেখতে পাওয়া যায়। ছবিটি একটি বিদেশী উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে তৈরী। এখনো বেশ কয়েকটি হলে এছবিটি চলছে।

৬. পোড়ামন ২ : গ্রামবাংলার চিরায়ত প্রেমকাহিনীর গল্প; দুজন দুজনকে ভালোবাসে, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেয়ের পরিবার। কারণ ছেলে গরিব। এমন গৎবাঁধা গল্প আমরা সেই আশির দশক হতেই দেখে আসছি। তাহলে কী এমন রয়েছে এই ছবিতে, যা প্রথম সপ্তাহে মাত্র ২০/২২ টা হল পাওয়ার পর পরবর্তীতে টানা ৫ মাস সারা দেশব্যাপী চলেছে?
আছে, গল্পটাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার আইডিয়া আছে; যা ৮ বছরের শিশু কিংবা ৮০ বছরের বুড়ো, সবাই উপভোগ করতে পারবে। গল্পে একটা সোশ্যাল মেসেজ রয়েছে, যেটা আমাদের বোঝায় গ্রামের ফতোয়া আইন কতটা গুরুতর। এছাড়া রয়েছে চোখধাঁধানো সিনেমাটোগ্রাফি, মনমাতানো গান এবং দারুণ বিজিএম; কেউই হয়তো মেহেরপুর অঞ্চলকে এর আগে এতোটা সুন্দরভাবে দেখেনি, যেমনটা এছবিতে দেখা যায়। এসব কিছুই গ্রামবাংলার পাশাপাশি শহুরে মানুষদেরও আকৃষ্ট করেছে, যার দরুণ ছবিটি ঢাকার বাইরেও ভালো ব্যবসা করেছে।

পরিচালনা করেছেন নবীন পরিচালক রায়হান রাফি, যিনি এর আগে কিছু শর্টফিল্ম বানিয়েছেন। ছবিতে আছেন নবাগত সিয়াম, পুজা চেরি, সাঈদ বাবু, বাপ্পারাজ, নাদের চৌধুরী, আনোয়ারাসহ আরো অনেকে। ছবিটি প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ছবিটি মুক্তি পায় এবং দারুণ ব্যবসা করে। ছবিটি এখনো কয়েকটি হলে চলছে, এছাড়াও বায়োস্কোপ প্রাইমে দেখা যাচ্ছে।

৫. দহন : দেশে বিগত বছরগুলোতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ পেট্রোল বোমা হামলার ওপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এটি পরিচালক রায়হান রাফির দ্বিতীয় ছবি, একইসাথে ছবির নায়ক সিয়ামেরও দ্বিতীয় ছবি। ছবিতে অভিনয়ে করেছেন সিয়াম, পুজা চেরি, জাকিয়া বারি মম, ফজলুল রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহীদুল আলম সাচ্চুসহ অসংখ্য গুণী অভিনেতা।

ছবিটি প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। পলিটিক্যাল-ক্রাইম-ড্রামা জনরার এছবিটি মুক্তি পায় ৩০ নভেম্বর, এবং দারুণ রেসপন্স পাচ্ছে। এছবিতে সিয়ামের প্লে করা তুলা চরিত্রটি দর্শকমনে স্থান করে নিয়েছে। এছাড়াও “পোড়ামন ২” এর মতো কারিগরি দিক থেকে যথেষ্ট নিখুঁত এবং শক্তিশালী। ছবিটি এখনো দেশের প্রায় চল্লিশটির মতো হলে চলছে।

৪. স্বপ্নজাল : গিয়াসউদ্দিন সেলিমের “মনপুরা” এর কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? কী দূর্দান্ত-ই ব্যবসা করেছিল ছবিটি। বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডে প্রায় ৬ মাস ধরে শুধু এই একটা ছবিই চলেছে। অথচ সেই ছবির পরিচালক তার দ্বিতীয় ছবি “কাজলরেখা” এর জন্য প্রযোজকই খুজেঁ পাচ্ছিলেন না.. কী দূর্ভাগ্য আমাদের! অবশেষে তিনি তার দ্বিতীয় ছবি “স্বপ্নজাল” নিয়ে আমাদের সামনে এলেন। ছবিটি প্রযোজনা করেছে বেঙ্গল ক্রিয়েশনস এবং বেঙ্গল বার্তা। মুক্তি পায় ৬ এপ্রিল।

পরী মনি-ই এছবির অন্যতম আকর্ষণ। আপনি অন্য দশটা ছবির পরী মনি আর “স্বপ্নজাল” এর পরী মনি’র মধ্যে কোনো মিলই খুঁজে পাবেন না। কী দূর্দান্ত পরিবর্তন! হা করে তাকিয়ে থাকার মতো। অভিনয়ে এতটাই উন্নতির ছাপ দেখা গেলো যেন তার পূর্ববর্তী কাজগুলো এই ছবির কাছে একদমই ম্লান।

ছবিতে ফজলুল রহমান বাবুও নেগেটিভ চরিত্রে ব্যাপক উপভোগ্য ছিলেন। এছাড়া ছবিতে রয়েছেন নবাগত ইয়াশ রোহান, মিশা সওদাগর, শহীদুল আলম সাচ্চু, ইরেশ যাকেরসহ আরো অনেকে। ছবিতে আশির দশকের একটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে, রোমান্টিক-পিরিয়ড-ড্রামাধর্মী এছবিটি এখন আইফ্লিক্সে (Iflix) এ দেখা যাচ্ছে।

৩. বেঙ্গলি বিউটি : হ্যাঁ ভাই, এছবিটি অনেকেই দেখতে পারেননি, কেউ হয়তো নামও প্রথমবার শুনলেন। ছবিটি শ্যুটিং করা হতে শুরু করে সেন্সর পাওয়া, মুক্তির তারিখ ঠিক করা, হল পাওয়া, ডিস্ট্রিবিউটর খোঁজা.. সবদিক থেকেই ঝামেলার শিকার হয়েছে। এতোএতো ঝামেলার পর হয়তো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যিরইয়াব ফিল্মস আর পরের ছবিটি এদেশের জন্য বানাতে চাইবেন না। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নবীন পরিচালক রাহশান নূর, যিনি এর আগে এদেশের পাশাপাশি হলিউডের ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ছবিতে অভিনয় করেছেন রাহশান নূর, নবাগতা মুমতাহিনা টয়া, সারাহ আলম, আশফাক রিজওয়ান, পীযুষ বন্দোপাধ্যায়সহ আরো অনেকে।

ছবিটি মুক্তি পায় ২০ জুলাই। তৈরি হয়েছে ৭০’ দশকের প্রেক্ষাপটের আলোকে। বঙ্গবন্ধুর বাকশাল তন্ত্র কায়েম করা হতে শুরু করে বঙ্গবন্ধু’র করুণ মৃত্যু পরবর্তী দেশের অবস্থা এবং কিছু খুটিনাটি বিষয়াদি তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে যা দূর্বলতা তা শুধু অভিনয়ে; এছাড়া গল্প কিংবা কারিগরি, কোনো দিক থেকেই বিন্দুমাত্র দূর্বলতা নেই, এতোটাই যত্নসহকারে নির্মিত হয়েছে। ছবিতে আবছা বাদামী রঙের একটি কালার প্যালেট ব্যবহার করা হয়েছে যা দেখতে খুবই সুন্দর দেখায়। ছবির গানগুলোও বেশ ভালো। আর টেকনিক্যাল দিকের কথা তো বললামই; হলিউডের লো বাজেটের ছবিগুলোর কারিগরি দিকে যেমন ফ্লেভার পাওয়া যায়, এছবিতে তেমন পাবেন। ছবিটি এখন বায়োস্কোপ প্রাইমে দেখা যাচ্ছে।

২. মাটির প্রজার দেশে : বিজন ইমতিয়াজ এবং তার প্রযোজক বন্ধু আরিফুর রহমান, দুজন মিলে ছবিটি বানানো শুরু করেন। প্রায় ৫ বছর ধরে তৈরি করেন, যত্নের ক্ষেত্রে কোনো কিছুর কমতি রাখেননি। শেষমেষ ছবিটি রেডী করার পর তাদের আর্থিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে ,যে ছবিটি ডিস্ট্রিবিউট করবে সেই পরিমান টাকা তাদের কাছে নেই। আর্ট ফিল্ম বিধায় কোনো ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিও ছবিটির প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায়নি। শেষে কোনভাবে স্টার সিনেপ্লেক্সকে ম্যানেজ করা গেলো চালানোর জন্য। ২৩ মার্চ মুক্তি দেওয়া হলো, প্রথম কয়েকদিন তেমন সাড়া পাওয়া গেলো না। এরপরই হঠাৎ করেই মুখে মুখে ছবিটির প্রশংসা ছড়িয়ে পড়লো, দ্বিতীয় সপ্তাহে দর্শক বাড়তে লাগলো। যারা দেখছেন তারাই বলছেন, এ এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা! এটাই “মাটির প্রজার দেশে” এর বিহাইন্ড দ্য সিন।

ছবিটি প্রযোজনা করেছে গুপৗ-বাঘা প্রডাকশন। অভিনয় করেছেন মাহমুদুর রহমান অনিন্দ্য, শিউলী আখতার জেরিন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তানিম তানভীর, রোকেয়া প্রাচী, ইকবাল হোসেনসহ আরো অনেকে। সিনেমাটোগ্রাফি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক মনমাতানো। ছবিটি দেখেছি প্রায় ৯ মাস হলো, এখনো আমার চোখে সেই সিনেমাটোগ্রাফির সৌন্দর্য লেগে আছে। শুনেছি এছবির বেশিরভাগ মিউজিকই আসল, অর্থাৎ খুব কম মিউজিক আছে যেগুলো কম্পোজ করা। এছাড়া ছোট্ট জামালের অভিনয় দেখার জন্য হলেও এছবিটি সবার জন্য মাস্টওয়াচ।

নাম্বার ওয়ান সম্পর্কে আলোচনা করার আগে এমন কিছু ছবির নাম নিতে চাই, যেগুলোর বেশকিছু দূর্বলতা থাকার কারণে এই লিস্টে জায়গা পায়নি। তবে এগুলোও ভালো ছবি। “পাষাণ“, “আলতা বানু“, “সুপার হিরো“, “জান্নাত“, “পাঠশালা“।

১. দেবী : আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এ ছবিতে যেই লেভেলের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করা হয়েছে, এ দেশের কোনো ছবিতে এমন কোয়ালিটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক নেই। অনেকটা থ্রি-ডি ফ্লেভার পাবেন যদি ভালো কোনো থিয়েটারে ছবিটি দেখতে পারেন (এখনো স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার এবং সিলভার স্ক্রিন মিনিপ্লেক্সে চলছে)। আমাদের দেশে হলগুলোর পর্দা এবং সাউন্ড সিস্টেমের এতোটাই দৈনদশা, যে কারণে এ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং সিনেমাটোগ্রাফি ঢাকার বাইরের হলগুলোতে তেমন কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেনি। পারবে কীভাবে, সেই হলগুলোতে তো সাউন্ডই ঠিকঠাকভাবে শোনা যায় না, ঘোলা পর্দার পিছনে মুভিখোরদের পয়সা খরচ করতে হয়। সত্যিই এটা আমাদের দূর্ভাগ্য!

ছবিটি মুক্তি পায় ১৯ অক্টোবর, ব্যতিক্রমী প্রচারণার জন্যই তুমুল হাইপ তোলে। একটি ছবির ব্যবসাসফল করতে হলে যে শুধুমাত্র তিন/চারটা অনুষ্ঠানে হাজির হওয়াই যথেষ্ট নয় তা ‘সি তে সিনেমা’ অন্যান্যদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নবীন পরিচালক অনম বিশ্বাস; অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, শবনম ফারিয়া, অনিমেষ আইচ, ইরেশ যাকেরসহ আরো অনেকে। বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস “দেবী” অবলম্বনে এই সাইকোলজিক্যাল-হরর-থ্রিলার ঘরানার ছবিটি নির্মিত হয়েছে।

অনেকের সাথেই হয়তো আমার পছন্দ মিলবে না। তাতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, আপনার যেটা ভালো লাগে সেটাই এ বছরের সেরা ছবি! সবাই ভালো বাংলা ছবি দেখুন এবং অন্যদের ভালো বাংলা ছবি সাজেস্ট করুন। আমাদের দর্শক কিন্তু এখনো ঢের কম, তাই বাংলা ছবির দর্শক বাড়ানো জরুরি।


মন্তব্য করুন