একটাই দোষ, ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার চিত্রনাট্যকার তিনি
সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগেই থেকে নাজিম উদ দৌলা জনপ্রিয়। তার একাধিক থ্রিলার ধাঁচের বই আছে বাজারে। সম্প্রতি ছোট ও বড় পর্দায় মিলিয়ে তার পরিচিত আরো বেড়েছে। তবে বিপত্তিতে পড়েছেন ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে। মন্তব্যের ঘর থেকে শুরু করে মেসেজ বক্স ভরে গেছে নোংরা কথায়। এমনকি রিপোর্ট করা হয়েছে তার পেজে। সব মিলিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’ শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’র প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় মুশকিলে আছেন এই লেখক।
আজ বুধবার (৫ জুলাই) ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিস্তারিত জানান তিনি।
‘মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া’ বইয়ের লেখক বলেন, “মেসেঞ্জারের স্প্যাম বক্সে উঁকি দেওয়া যাচ্ছে না! দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বকবক করে! নোংরা গালিগালাজ করে আমার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করা হচ্ছে। আমার দোষ কী? দোষ হচ্ছে- আমি ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার প্রচারণা চালাচ্ছি ফেসবুকে। সুড়ঙ্গের সাথে কমপিটিশনে থাকা অন্য সিনেমার ফ্যান ফলোয়ারদের তা পছন্দ হচ্ছে না। তাই তারা আমার ইনবক্সে এসে নিজেদের বাপ-মায়ের পরিচয় দিচ্ছে! (কয়েকটা স্ক্রিনশট নমুনা দিলাম) কোনো সভ্য-ভদ্র মানুষ এসব করতে পারে না! একজন লেখকের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয় সেই জ্ঞানটা এদের নাই! এনিওয়ে, আমি এসব আমলে নেই না। নোংরা লোকেরা তো নোংরামি করবেই। কিন্তু আজ যেটা ঘটেছে সেটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ফেসবুক পেইজটা আনপাবলিশড হয়ে গেছে। কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে- মাল্টিপল রিপোর্ট। হতবাক হয়ে গেলাম! আমি একজন নিরীহ লেখক মানুষ, আমার পেইজে রিপোর্ট মারবে কে? বুঝতে অসুবিধা হলো না যে আমার আইডিতে যারা গালাগালি করছে, তারাই এইবার লেগেছে পেইজের পেছনে!
আমি বারবার একটা কথা বলেছি যে আমাদের দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সুস্থ ধারার কমপিটিশন খুবই জরুরি। কিন্তু এসব অসুস্থ মেন্টালিটির ফ্যান ফলোয়াররা সেটা হতে দিবে না। তারা নোংরামি করবেই। তাদের অপোজিশনে যারাই থাকবে তাদেরকে গালাগালি করে উদ্ধার করবে। আমি সুড়ঙ্গ সিনেমা লিখেছি, তার মানে তো এই না যে আমি অন্যান্য সিনেমার বিপক্ষে। সবগুলাই তো আমাদের সিনেমা! সবাই নিজের সিনেমার প্রচার করুন, অন্যের সিনেমার দুর্নাম করে তো কারো লাভ হবে না! এসব করে লং রানে তো ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতিই হচ্ছে।
একজন চিত্রনাট্যকারের কাজ হচ্ছে চিত্রনাট্য লেখা। কোন ক্যারেক্টারে কে অভিনয় করবে সেটা নির্ধারণ করে ডিরেক্টর আর প্রডিউসার। লেখককে কেন তারা শত্রু ভাবছে? তাদের মাথায় কি এক ছটাক ঘিলু নাই? আমি ইতোমধ্যে ইন্ডাস্ট্রির অনেকের সাথেই কাজ করেছি। আজ এপাড়ে আছি, কাল হয়তো ওপাড়েও থাকতে পারি! নাকি আমাকে তারা ওপাড়ে দেখতে চায় না? একটা ভালো সিনেমার ভিত্তিটা তৈরি হয় লেখকের হাতে। ভিত্তিটা নড়বড়ে হলে কখনো সিনেমা ভালো হবে না- এই জ্ঞান তাদের আছে বলে মনে হয় না!
যাই হোক, কপাল ভালো যে আমি আপিল করার পর ফেসবুক আবার আমার পেইজটা পাবলিশ করে দিয়েছে। আমি ব্লগে লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছি, পত্র-পত্রিকাতেও লেখা হচ্ছে না, সাহিত্যচর্চা থেকেও দূরে আছি কয়েক বছর ধরে। লিখতে না পারলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই, এখন লেখালেখি করার জন্য শুধুমাত্র ঐ পেইজটাই আছে। খামাখা পেইজে রিপোর্ট করা থেকে বিরত থাকেন, প্লিজ!”