Select Page

ক্যানিবালিজম দেখানো ফিকশন কেন জনপ্রিয় হচ্ছে

ক্যানিবালিজম দেখানো ফিকশন কেন জনপ্রিয় হচ্ছে

বাংলাদেশে বেশ কিছু বছর ধরে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কিছু ফিকশন, যেগুলা মানুষের মাংস খাওয়া দেখাচ্ছে।

জনপ্রিয় লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ দিয়ে এর শুরু। এই বই আমি পড়ি নাই, ওয়েব সিরিজ দেখেছি। সেখানে একজন সাইকপ্যাথিক নারী দেখানো হয়, যিনি মানুষের মাংস রান্না করেন, খাওয়ান। বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে, ঘটনার প্রেক্ষিতে একসময় তারে মানুষের মাংস খাইয়াই বাঁচতে হইছিল। পরে তার নেশা হয়ে যায়।

সারভাইভাল ক্যানিবালিজম নিয়ে রহস্য লেখকদের রাজা এডগার এলান পো অনেক আগে এক উপন্যাস লেখছিলেন। ১৮৩৮ সালে, ৭২ হাজার শব্দে তার একমাত্র পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস। সেখানে একটি বিধ্বস্ত জাহাজে তিনজন সারভাইভর কেবিন বয় রিচার্ড পার্কারকে খেয়ে ফেলে। পো তার উপন্যাসকে বলতেন সিলি বুক। কিন্তু এটা জুলভার্ন, হারমান মেলভিলের কাজে অনুপ্রেরণা ছিল।

আরেকটা গল্প এইদেশে জনপ্রিয়, রাফসান হকের, এটা ভিকি জাহেদের লেখা ও পরিচালনায় ড্রামা সিরিজ ‘পুনর্জন্ম’। এর নায়ক তার বউরে মাইরা রান্না করে খাওয়াইয়া দেন, তিনি একজন বাবুর্চি। আমি এর প্রথম পর্ব দেখছি।

মানুষের ইতিহাসে মানুষের মাংস খাওয়ারে ট্যাবু হিশাবেই দেখা হইছে। নানা সংস্কৃতিতে এর প্রচলনের ব্যাপারে যেসব তথ্য মিলে তাতে দেখা যায় এই প্র্যাকটিস কমন ছিল না, খুবই অল্প পরিমাণে ছিলো। এবং যেই পরিমাণে বলা বা লেখা হইছে তার চাইতে কম ছিল।

কোন এক দল মানুষরে খারাপ, জঘন্য, ভয়ানক বর্বর দেখাইতেই আক্রমণকারীরা তাদের মানুষখেকো হিশাবে প্রচার করতে চাইত। আক্রমণের মরাল গ্রাউন্ড তৈরি করতে। ফলে, যত বলা বা লেখা হইছে মানুষখেকো এরা, সত্যিকারার্থে অত মানুষখেকো ছিল না। মানুষদের “মানুষখেকো” হিশাবে দেখানো একটা “আদারাইজেশন।”

মানুষ খাওয়ার যেসব প্র্যাকটিস চালু ছিল, এগুলা বেশিরভাগই রিচুয়ালিস্টিক। রিচুয়ালের অংশ হিশাবে মানুষের মাংস খাইত কোন কোন অঞ্চলের মানুষেরা। যেমন পাপুয়া নিউ গিনির ফরে লোকদের মৃত সৎকারের মধ্যে ছিল মৃতদের মাংস খাওয়া, যাতে মৃতের আত্মা মুক্ত হইতে পারে ও জীবিতদের ক্ষতি করতে না পারে। কোন কোন জায়গায়, বিশেষ কোন ক্ষমতা অর্জনের জন্য যাদুবিদ্যা সাধনার অংশ হিশাবেও মানুষের মাংস খাইত লোকে, বা এখনো হয়ত খায়।

এছাড়া, সারভাইভাল ক্যানিবালিজম, বাঁচার জন্য মানুষের মাংস খাওয়া। চিকিৎসার ওষুধের প্রয়োজনে খাওয়া। এন্ডো ক্যানিবালিজম, নিজের কম্যুনিটির লোকদের মাংস ভক্ষণ। এক্সো ক্যানিবালিজম, নিজের দল বা কম্যুনিটির বাইরের লোকদের মাংস খাওয়া। এবং সাইকোপ্যাথিক বা ক্রিমিনাল ক্যানিবালিজম, ইত্যাদি নাম দেয়া হইছে বিভিন্ন ধরণের ক্যানিবালিজমরে।

মুরাদুল ইসলামের লেখা নিয়মিত পেতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের অডিয়েন্সের কাছে রাফসান হক বা মুশকান জুবেরী মানুষখেকো নারী চরিত্রটি, সাইকোপ্যাথিক/ক্রিমিনাল ক্যানিবালিজমের চর্চাকারী। তাদের এতো জনপ্রিয়তার কারণ কী বুঝতে সাইকএনালিসিসের দিক থেকে দেখি।

ফ্রয়েডরে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলবেন, মানুষ যা করে, যা তার ডেজায়ার এইগুলা তার আনকনশাস ইমপালস থেকে আসে, এমনো হইতে পারে যা তার মধ্যে রিপ্রেসড আছে, অবদমিত অবস্থায় আছে, তার প্রকাশ ঘটে তার ডেজায়ারে, তার কাজে।

মানুষের বাচ্চার সাইকোসেক্সুয়াল ডেভলাপমেন্টের এক পর্যায়ে তার প্লেজার থাকে মুখে, সে সব কিছু মুখে নিতে চায়। আমরা কি বলতে পারি তাহলে এই জনপ্রিয় গল্পগুলাতে যে মানুষের মাংস মুখে নেয়া, তা বাচ্চা অবস্থা থেকে পাবলিকের ফিকশন রুচি তৈরি হবার এক পর্যায় মাত্র?

এইটা ঠিক মিলে না।

তাই, মরণ বাসনায় যাই।

ফ্রয়েডের মতে, মানুষের একটা ডেথ ড্রাইভ আছে। মরণ বাসনা। সে নিজেরে ডেস্ট্রয় করতে চায়। মানুষের নিজেরে হার্ম করার যেসব আচরণ, এগুলা এই মরণ বাসনা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়।

ফ্রয়েড বলেন,

একটা টেনে ধরা রাবার ভেতর থেকে আবার তার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে চায়। মানুষও তেমনি সচেতন বা অবচেতনে তার অজৈব অস্তীত্বহীনতায় ফিরে যেতে চায়। মৃত্যু-আকাঙ্খা আর জীবন-আকাঙ্খা আমাদের ভেতর পাশাপাশি খেলা করে। মৃত্যু ভালোবাসার বন্ধু। তারা দুজনে মিলেই বিশ্ব শাসন করে। বেয়ন্ড দি প্লেজার প্রিন্সিপাল বইটিতে আমি সে কথাই বলতে চেয়েছি।

সাইকোএনালিসিসের শুরুতে আমরা ভাবতাম ভালোবাসাই আসল কথা কিন্তু এখন জানি যে মৃত্যুও গুরুত্বপূর্ন। প্রতিটি জীবন্ত শরীরে জৈবিকভাবেই মৃত্যুর আকাঙ্খা সুপ্ত থাকে। বিলুপ্তিই জীবনের শেষ উদ্দেশ্য।

[ফ্রয়েডের স্বাক্ষাতকার নিয়েছেন জর্জ সিলভিস্টার ভিয়েরেক। “কথা পরম্পরাঃ শাহাদুজ্জামান”]

সম্ভবত, এই মানুষের মাংস রান্নার গল্পগুলা নতুন ভাবে পাবলিকের ডেথ ড্রাইভে স্পর্শ করতে পারছে। এমনিতে ভায়োলেন্ট ফিলিমগুলা ডেথ ড্রাইভে টাচ করে, কিন্তু একইরকম দেখতে দেখতে ঐগুলাতে মানুষ আর আকর্ষন অনুভব করে না, এখন তারে এক্সট্রিম জন উইক ধরণের ভায়োলেন্সে যাইতে হয়।

আরেকটা কারণ হইতে পারে, আমাদের আর্থ সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তনরে খেয়াল করে। আমাদের সমাজ পরিবর্তিত হচ্ছে এই তিনদিক দিয়েই। প্রযুক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা, সম্পর্কের ধরণ, ব্যবসা, বিনোদন অনেক কিছুই বদলে দিচ্ছে। দেশে টাকার প্রবাহ বাড়ায় মার্কেট তৈরি হচ্ছে। ইনফাস্ট্র্যাকচারের উন্নতি হচ্ছে।

মোটাদাগে একটা সমাজের দুইটা স্ট্র্যাকচার থাকে। এক, তার ব্যবসা বাণিজ্য অর্থনীতি, রাস্তাঘাট, উন্নয়ন ইত্যাদি মিলিয়ে স্ট্র্যাকচার। আরেকটা তার সাংস্কৃতিক, ধ্যান ধারণা, বিশ্বাস ধর্ম ইত্যাদি মিলিয়ে। এই দুই স্ট্র্যাকচারের আন্তঃসম্পর্ক, পরিবর্তনের মাধ্যমেই সমাজের যাত্রাপথ সূচিত হয়। যখন একটা পরিবর্তন হয় তখন আরেকটাতে প্রভাব পড়ে। এবং এই পরিবর্তনের সময় সমাজের নানা স্তরে দ্বন্দ্বের তৈরি হয়।

দ্বন্দ্বগুলার ফলাফল আসে, পরিবর্তন হয়, সমাজ চলতে থাকে।

যেহেতু আমাদের অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনগুলা হচ্ছে, এর প্রভাবে কালচারাল দিকেও পরিবর্তন হচ্ছে। সাথে সাথে কালচারাল দ্বন্দ্বগুলাও তৈরি হচ্ছে, সামনে আসছে।

মানুষের মাংস রান্না বা খাওয়ার মত একটা ট্যাবু জিনিশের উপস্থাপন, এর জনপ্রিয়তা এই কালচারাল-সামাজিক ধ্যান ধারণা কেন্দ্রিক স্ট্র্যাকচারে যে পরিবর্তন আসতেছে, পুরান ধারণায় আসা আঘাতরেই প্রতীকী ভাবে দেখায়। নানা ক্ষেত্রে আঘাত যে আসতেছে, অনেক ট্যাবু, পুরান ধারণা ভাঙ্গতেছে, মানুষ তা অনুভব করতেছেন।

আমি বলতেছি না লেখকেরা আঘাত দিতেই লেখছেন সচেতনভাবে। আমার পয়েন্ট, তারা কেন এইটা এখন লেখতে পারলেন, এবং কেন এই আইডিয়া এখন পাবলিক গ্রহণ করতে পারলো?

এর আগে বাংলা সাহিত্যে মানুষখেকোরা কি জনপ্রিয় ছিল, এবং থাকলে কখন ছিল, এই প্রশ্নের দিকে যাওয়া যায়।

বাংলা সাহিত্যে, বিশেষত শিশু কিশোর সাহিত্যে আপনি রাক্ষস খোক্ষসের নাম শুনে থাকবেন। এনারা মানুষের মাংস খেতেন। মানুষ ধরে ধরে খেতেন। এবং, লাল বিহারী দে’র কালেকশনে (১৮৮৩), দক্ষিণারঞ্জণ মিত্রের ঠাকুরমার ঝুলিতে (১৯০৭) থাকা এইসব গল্প অনেক জনপ্রিয় ছিল। এগুলার জনপ্রিয়তার কালে ব্রিটিশেরা এই অঞ্চল শাসন করছে।

কলোনাইজাররা তাদের টেক্সটে এই অঞ্চল নিয়া লেখছিল এরা বর্বর, অসভ্য, মানুষখেকো। এই বলে তারা তাদের উপনিবেশ স্থাপনের, শাসন করার নায্যতা দিছে, যেহেতু এটাই উপনিবেশ স্থাপনের লজিক। কিন্তু বাংলা লোকগল্পে মানুষ এই কলোনাইজারদেরই রাক্ষস মানুষখেকো হিশাবে দেখাইছে, যে এরা কোত্থেকে জানি আসে, অদ্ভুত জীব, ত্রাস সঞ্চার করে এবং মানুষদের খাইয়া ফেলতেছে, বাঁচতে হলে এদের লগে ফাইট করে বাঁচতে হবে। কলোনাইজারদের শাসনে থাকা অবস্থায় নিজেদের যে অস্তিত্বের সংকট, তা উঠে আসছে এইসব গল্পে, ঋতুপর্ণা দাস তার পেপারে এই ব্যাখ্যা দেন।

এই সময়ের রাফসান হক বা মুশকান জুবেরীর সাথে আগের মানুষখেকোদের এক বড় পার্থক্য হইল, আগের মানুষখেকোরা নিজেরা তৃপ্তির জন্য মানুষ খাইত, কিন্তু অন্যদের খাওয়াইত না। এই জুবেরী বা রাফসান দুইজনই ভালো রান্না পারে, তারা মানুষের মাংস রান্না করে না জানাইয়া অন্য মানুষদের খাওইয়া দেয়।

এইটা হচ্ছে এই দুইজনের পাওয়ার এবং ডমিনেন্স দেখানো। তারা এই খাদ্য মানুষদের খাওয়াইয়া স্যাডিস্টিক আনন্দ পায়।

মানুষের দুর্বল জায়গা তারা ধরে, সেই জায়গায় স্যাটিসফেকশন দেয়। ভালো রান্না খাওয়া, জিহ্বার স্বাদ মানুষের দুর্বল জায়গা, ভালো রান্না পরিবেশনের মাধ্যমে এর পরিতৃপ্তি ঘটায় রাফসান বা মুশকান জুবেরী, এবং এর মাধ্যমে লোকগুলারে মানুষের মাংস খাওয়ায়, তাদের উপর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুখ পায়।

এখানে আমার শেক্সপিয়রের ব্লাডি রিভেঞ্জ ড্রামা টাইটাস এন্দ্রোনিকাসের কথা মনে পড়ে। যেখানে এন্দ্রোনিকাস রানীর দুই ছেলেকে হত্যা করে তাদের দ্বারা বানানো পাই রানীরে খাইয়ে দেয়। এই দৃশ্যটা ইউটিউবে দেখা যেতে পারে, সতর্কতাঃ হিংস্রতা আছে।

বাংলাদেশের রাফসান হক বা মুশকানরে পাবলিক এতো ভালোভাবে নিলো কেন, আবার এই প্রশ্নে আসি। মানুষের মানুষ খাওয়া একটা ‘ট্যাবু” এবং অসভ্য বর্বরতার রূপ যেমন, তেমনি সামাজিক ভয় ও উদ্বেগের এক মেটাফর। কালেক্টবলি আমাদের সাইকিতে একটা অবিশ্বাস, উদ্বেগ ও ভয় বাড়তেছে, যে অন্যরা আমাদের উপর দখল নিতে চায় আমাদের দুর্বল জায়গারে পরিতৃপ্ত করতে করতে, বিনোদিত করতে করতে। যে সোশ্যাল মিডিয়া আমরা ব্যবহার করি, এটা নিয়েও আমাদের অবিশ্বাস আছে। আমাদের বিনোদিত করতে করতে সে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের মনোযোগ, সময় ও তথ্য, বিক্রি করে দিচ্ছে বড় কোম্পানিদের কাছে বিজ্ঞাপনের জন্য। এ যেন স্বাদের কাচ্চি বিরানি বানাইয়া তাতে কুত্তার মাংস দিয়ে দেয়া। আক্ষরিক অর্থে, এই রকম ঘটনা দুয়েকবার ঘটে গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা হয়েছে, এবং জনমনে এই ধারণা আছে যে অনেক বিরানি বিক্রেতা কুত্তার মাংস দিয়ে দেয়। তাই, রিলেট করার মত একটা জায়গা আছে। এবং অর্থনৈতিক-ইনফাস্ট্র্যাকচারাল-প্রযুক্তিগত যে পরিবর্তন আসছে, তার ফলে কালচারে-সমাজে-ধ্যান ধারনায়-কালেক্টিভ সাইকিতে পরিবর্তন ও দ্বন্দ্বের যে টেনশন, তা একটা অবিশ্বাস তৈরি করে যাচ্ছে। এর কিছু ভ্যালিড কারণ অবশ্যই আছে। আমরা দেখতে পাই কিছু মানুষ সাইকোপ্যাথের মত প্রচুর প্রচুর টাকা নিয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে চুরি করে, কিছু মানুষ ফটকা ডেস্টিনির মত বিজনেস আনতেছে, বড় বড় বিনোদন কর্মীদের দ্বারা মানুষের বিশ্বাস তৈরি করে তাদের টাকা নিয়ে অবলীলায় চলে যাচ্ছে, রাজনৈতিক দিক থেকে ন্যায় নাই, মানুষের অধিকার নাই। কেবল সাইকোপ্যাথিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের লড়াই। এই অশান্ত সময়ের স্ট্রেস আছে পাবলিক সাইকিতে, তাই তারা রাফসান বা মুশকান জুবেরীরে অভিনব বিনোদন হিশাবেই গ্রহণ করে নেয়।

আরো “ট্যাবু” নাটকে, ফিল্মে, গল্পে আসতে থাকবে। সবগুলা জনপ্রিয় হবে না। এগুলা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনাও চলতে থাকবে। ওটিটি ফিল্মে যৌন দৃশ্য একটা বেশ কমন ঘটনা এখন। কিন্তু যৌনতা বা যেকোন প্রয়োজনে নগ্নতা দেখাতেও এমন সব হতে থাকবে, যা আগে হয় নি। যেমন শুনেছি মাই শেলফ এলেন স্বপন সিরিজে অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান পুরা ন্যাংটা হইছেন, যেটা আগে হয় নি বাংলা ফিল্মে। খালি যৌনতা, নগ্নতাই না, অন্যান্য অনেক ব্যাপার আছে যা ফিলিম বা গল্প উপন্যাসের মাধ্যমে আসা একরকম নিষেধ। পাদের ইস্যুটা আনা যায়। জনপ্রিয় পরিচালক কাজল আরেফিন অমির এক অবসেশন আছে পাদ নিয়ে, তিনি তার নাটকগুলাতে শব্দ করে পাদ মারা রাখেন। বিটিভির নব্বই দশকের নাটকের ধারাবাহিকতা, যেখানে প্রমিত বাংলায় কথা বলা হতো, সেখান থেকে এই শব্দ করে পাদ মারায় চলে আসার যে পরিবর্তন, এটা আর্থ-সামাজিক-কালচারাল পরিবর্তনেরই প্রভাব।

যাই হউক, আবার এডগার এলান পো এর কথায় আসি।

তার সেই উপন্যাস লেখার ৪৬ বছর পর ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ড থেকে অষ্ট্রেলিয়া যেতে পথিমধ্যে বিপদে পড়ে একটি জাহাজ। সেখানেও ছিল তিনজন সারভাইভর। তারা কেবিন বয়কে মেরে খেয়ে ফেলে।

এখানেও কেবিন বয়ের নাম ছিল রিচার্ড পার্কার!


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত

লেখক ও বিশ্লেষক

মন্তব্য করুন