Select Page

পাঁচ দাবি পূরণ না হলে স্টার সিনেপ্লেক্স বন্ধের ঘোষণা

পাঁচ দাবি পূরণ না হলে স্টার সিনেপ্লেক্স বন্ধের ঘোষণা

করোনার কারণে গত মার্চ মাস থেকে দেশের অন্যান্য সিনেমা হলের মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের ৩টি শাখার ১৫টি হল। দেশের শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, পর্যটন, ধর্মীয় উপসনালয়সহ প্রায় সকল কিছু খুলে দেওয়া হলেও খুলেনি কোন হল। এ অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে কোন সহায়তা না পেলে বন্ধ হয়ে যাবে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স।

বুধবার হলটির মহাখালি শাখায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মাহবুব রহমান রুহেল।

তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫টি দাবি তুলে ধরেন—নগরবাসীর বিনাদোনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনতিবিলম্বে সিনেমা হলসমূহ খুলে দেয়া, জরুরি আর্থিক সহায়তা কিংবা প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা, সিনেমা হলের টিকিটের ওপর সব ধরনের মূসক ও কর মওকুফের সুযোগ প্রদান, সুদবিহীন ঋণ প্রদানের অনুমোদন এবং উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্রসমূহ শর্তহীনভাবে আমদানির অনুমতি প্রদান।

মাহবুব রহমান রুহেল শপিংমল কর্তৃপক্ষের কাছে করোনাকালীন সময়ের ভাড়া মওকুফ এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে প্রযোজক সমিতির কাছে নতুন ছবি সরবরাহের অনুরোধ রাখেন।

তিনি বলেন, ‘দর্শকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা ২০১৮ ও ২০১৯ সালে উচ্চ সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের তিনটি নতুন শাখা চালু করি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমাদের কোনো আয় নেই। ঋণের সুদ এবং কর্মীদের বেতন চালিয়ে নেয়া রীতিমত অসম্বভব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সিনেমা হল চালু না হলে এবং সরকারের কাছ থেকে জরুরি আর্থিক সহায়তা না পেলে আমাদের হলগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

হল খুললেই হয়তো নতুন ছবি দেওয়া সম্ভব হবে না। তৈরি হয়ে থাকা ছবির মধ্যে মাত্র ২ থেকে ৩টি সিনেপ্লেক্সে চালানোর উপযুক্ত। এমতাবস্থায় নতুন বাংলা ছবি আশার আগ পর্যন্ত ভারতীয় ছবি চালানোর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলেন রুহেল।

কিন্তু ভারতীয় ছবি চালানোর উপর তো হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এমতাবস্থায় নির্বাহী আদেশে তা আমদানি সম্ভব নয়। এমন প্রশ্নের উত্তরে রুহেল হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তাদের জানা নেই।

হল মালিক সমিতি কিংবা প্রযোজক সমিতির কাউকে ছাড়া একা সংবাদ সম্মেলন কেনো? ‘বাংলাদেশে মাল্টিপ্লেক্সে আমরা ছাড়া ওভাবে কেউ নেই। তাই মাল্টিপ্লেক্সগুলো কোনো সংগঠনও নেই। তাছাড়া হল মালিক সমিতি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে আমরা সরকারের উচ্চ মহলে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি।’

রুহেল জানান, স্টার সিনেপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত ৩ শতাধিক বাংলা সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকই ব্যবসায়িকভাবে সফল। তিনি বলেন, তারেক মাসুদের ‘অর্ন্তযাত্রা’ আমরা এক মাস চালিয়েছি কোনো লাভ না করেই। শুধুমাত্র বাংলা ছবি, ভালো ছবির প্রতি ভালোবাসা থেকে। এরকম অনেক ছবিই আমরা চালিয়েছি।

স্টার সিনেপ্লেক্স বন্ধ হয়ে গেলে দেশি ভালো ছবির যে দর্শক বিগত এক দশকে নতুন করে তৈরি হয়েছে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে জানান রুহেল।


মন্তব্য করুন