তরুণদের উৎসাহ দিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন মাহিয়া মাহি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও চূড়ান্ত ডাক পেতে ব্যর্থ হয়েছেন মাহিয়া মাহি। এবার তার নামে রাজশাহীর তানোর-গোদাগাড়ী-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এক আত্মীয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহি। তিনি বলেন, আমি জিতব, হারব—বিষয়টা সেটা নয়। বিষয়টা হচ্ছে, আমাকে দেখে যাতে তরুণেরা ভোট দিতে আগ্রহী হন।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান থেকে উৎসাহ পেয়েছেন বলে জানান এ নায়িকা। প্রথম আলোর কাছে মাহির দাবি, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান, আমরা তাদের সবাইকে যাতে সহযোগিতা করি। তাদের আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করি, স্বাগত জানাই।’ সে ক্ষেত্রে এটা আমার একটা স্টেপ। আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার এটা আরেকটা পদক্ষেপ। আমাকে দেখে আরও যাতে সবাই আসেন। নির্বাচন করেন। যাতে একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়, সবার অংশগ্রহণ থাকে। শুধু একজন নমিনেশন পেয়েছেন, তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না, এ রকম যাতে না হয়।’
মাহি বলেন, ‘আমি জিতব, হারব—বিষয়টা সেটা নয়। বিষয়টা হচ্ছে, আমাকে দেখে যাতে তরুণেরা ভোট দিতে আগ্রহী হন। আমাকে ভোট দিক বা যাঁকেই ভোট দিক, তারা ভোট দিতে যেন আসেন। এটা একটা উৎসবমুখর পরিবেশ করার জন্যই আমার অংশগ্রহণ। অবশ্য আমার এলাকার মানুষেরা উৎসাহ দিয়েছেন বলেই তো অংশ নেওয়া। তবে শেষ জয়ের হাসি কে হাসবেন, সেটা বলতে পারছি না।’
‘ভালোবাসার রং’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউড পেয়েছিল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে। ১১ বছরে চলচ্চিত্রের নানা অলিগলি পেরিয়ে মাহিকে দেখা গেছে রাজনীতির মাঠেও। বেশ কয়েক মাস ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। অংশ নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে। আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করবেন। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলে তা নিশ্চিত হয়।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। তখন ওই আসনে তফসিল ঘোষণা করা হলে মাহিয়া মাহি সেখানে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচারে অংশ নেন। পরে আওয়ামী লীগ তাঁকে সেখানে মনোনয়ন দেয়নি।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও তিনি ওই আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বেশ তৎপর হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। শেষমেশ তিনি তার নানাবাড়ির আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। তানোর শুধু তার নানাবাড়ি নয়, এখানেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি এখানকার মানুষ।