শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে যা বলছেন মিশা-জায়েদ
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তারা একুশ দফা কর্মসূচি নিয়ে দায়িত্বে এসেছেন। এবার দেখে নেওয়া যাক নির্বাচন পরবর্তী অবস্থান কী? যুগান্তরের সৌজন্যে দুই অভিনেতার সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ-
নুতন এ দায়িত্বে আপনার প্রথম পথচলা। এর মধ্যে কী পরিকল্পনা করছেন?
মিশা : প্রথমেই আমি শিল্পীদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যারা আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমার প্রথম কাজ হল সব শিল্পীকে এক কাতারে নিয়ে আসা। শিল্পী মানেই শিল্পী। আমাদের নির্বাচনী স্লোগান হল, নীতিগতভাবে আমরা এক। শিল্পীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না। আমরা যাতে নিজেদের গ্রহণযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যেতে পারি সেই চেষ্টাই থাকবে।
জায়েদ : আমি দীর্ঘদিন ধরেই আন-অফিসিয়ালি দায়িত্ব পালন করছি। সমিতির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। যেটা আগের নির্বাচিত কমিটির করার কথা ছিল। শিল্পীরাই আমার পরিবার। চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে এখানে এসেছি। সুতরাং দায়িত্ব সামলাতে পারব বলে নির্বাচন করেছি এবং সবার ভালোবাসায় জয়ী হয়েছি। আশা করছি সবাইকে নিয়ে পথ চলতে পারব।
নির্বাচনী ইশতেহারে শিল্পীদের জন্য এক কোটি টাকার ফান্ড গঠন করার কথাও বলেছেন। এটা কীভাবে সম্ভব বলে মনে করেন?
মিশা : অবশ্যই সম্ভব। তবে হ্যাঁ, আমরা সবাই যদি এক থাকি, একসঙ্গে কাজ করি তাহলে এক কোটি কেন, দশ-বিশ কোটি টাকার ফান্ডও আমরা করতে পারি। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব নির্বাচনী ইশতেহার পুরোপুরি সাকসেস করতে। এজন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
বিদেশি ছবির প্রদর্শন ও যৌথ প্রযোজনার বিরুদ্ধেও আপনাদের অবস্থান ইশতেহারে রয়েছে।
মিশা : বিরুদ্ধে কথাটা বললে ভুল হবে। আমরা বলেছি দেশীয় ছবিকে অবশ্যই আগে প্রাধান্য দিতে হবে। তারপর বিদেশি ছবি। আর যৌথ প্রযোজনায় অবশ্যই নীতিমালা মেনে করতে হবে। এবং এটা আমাদের প্রথম কাজ হবে।
শিল্পীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থাও করবেন বলে জানিয়েছেন…
মিশা : সব শিল্পীর সামর্থ্য নেই ঢাকা শহরে নিজের বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কেনার। কিছুসংখ্যক শিল্পীই নিজেদের উপার্জনের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করেন। আমরা বলেছি, সরকারের কাছ থেকে জায়গা বরাদ্দ নিয়ে শিল্পীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করব। চেষ্টা করতে তো আর দোষ নেই। যদি সাকসেস হই তাহলে শিল্পীদের জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া হবে।
বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে শিল্পীদের ভাতা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে দিয়েছেন। কীভাবে সম্ভব এটা?
জায়েদ : এটা আমরা বুঝেশুনেই বলেছি। আমরা বলেছি একটা ফান্ড গঠন করব এবং সেখান থেকেই সাধ্যমতো সবাইকে বিভিন্ন উৎসবে ভাতা প্রদান করে সহযোগিতা করব। তবে হ্যাঁ, এই ফান্ড গঠনের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
নেতৃত্বে আসার আগেও আপনি পাইরেসিসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের প্রতিবাদ করেছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কী এ ধারা অব্যাহত থাকবে?
জায়েদ : সাধারণ সদস্য হিসেবে থেকে যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারি, তাহলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আরও বেশি করতে পারব। কারণ আগে নিজ তাগিদে চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে করেছি। আর ভালোবাসার সঙ্গে দায়িত্বও যোগ হয়েছে। অবশ্যই চলচ্চিত্র থেকে সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দূর করার ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকব। ষআনন্দনগর প্রতিবেদক