Select Page

রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্স: দেশে সিনেমার হাজার কোটি টাকার বাজার

রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্স: দেশে সিনেমার হাজার কোটি টাকার বাজার

স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্ণধার মাহবুব রহমান রুহেলের মতে, বাংলাদেশে সিনেমার বিশাল বাজার রয়েছে। এটা সম্প্রসারিত হয়ে ১ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশে ১ হাজার স্ক্রিন হোক। পুরো বিশ্বে এটা প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। বাংলাদেশেও ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সেজন্য আমাদের স্ক্রিন সংখ্যা বাড়াতে হবে। আমি মনে করি এটা সম্ভব, তাই আমিও এগিয়ে যাচ্ছি।’

গতকাল শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাজশাহীর বুলনপাড়া আইবাঁধ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে সিঙ্গেল স্ক্রিনে স্টার সিনেপ্লেক্সের আউটলেট চালু হয়েছে। এ সময় স্টার সিনেপ্লেক্সের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান রুহেল।

এ হলে আসন সংখ্যা ১৭২টি। নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাউন্ড সিস্টেম, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিশ্বমানের সিনেমা হলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা এখানেও থাকছে। আজ থেকে নির্ধারিত টিকিটের মাধ্যমে এখানে সিনেমা দেখতে পারবেন আগ্রহীরা।

শত-স্ক্রিনের স্বপ্নের কথা জানিয়ে এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘রাজশাহীর পরপরই আমাদের বগুড়া ও কুমিল্লায় যাওয়ার কথা। কক্সবাজারেও যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আমার ইচ্ছে, সর্বোচ্চ তিন থেকে চার বছরের মধ্যে আমি ১০০টি স্ক্রিনে পৌঁছতে চাই।’

করোনা মহামারির কারণে অনেকটা পিছিয়ে যেতে হয়েছে বলেও জানালেন রুহেল। তার দাবি, ‘মহামারি না থাকলে হয়তো এতদিনে আমরা ৫০টা স্ক্রিনে থাকতাম। তারপরও বলি, বাংলাদেশ থেকে এখন যে উৎসাহটা পাচ্ছি, ভালো ভালো ছবি হচ্ছে, ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’র মতো সুন্দর ছবি হয়েছে। আরও ভালো আসছে। ছবি তৈরির পর সবাই এখন যে রিটার্ন পাচ্ছে, তাতে উৎসাহিত হচ্ছে। আমি মনে করি, খুব শিগগিরই আমাদের আরও অনেক হল করা উচিত।’

২০০৪ সালে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে যাত্রা করে স্টার সিনেপ্লেক্স। এরপর ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার, মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার, মিরপুরের সনি স্কয়ার ও বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘরে শাখা চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। গেলো বছরের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম নগরীর বালি আর্কেড শপিং মলেও একটি শাখা খোলা হয়।

সিনেপ্লেক্সের ১০০ স্ক্রিন থেকে এক সপ্তাহেই ছবির লগ্নি উঠিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন মাহবুব রহমান রুহেল। তার ভাষ্য, ‘হল থাকলে ভালো ভালো ছবি তৈরি হবে। এখন যেমন এক থেকে দেড় কোটিতে ছবি বানাচ্ছেন প্রযোজকরা, তারা তখন পাঁচ থেকে দশ কোটি বাজেটে ছবি বানাবেন। ১০০টি স্ক্রিন হলে রিটার্ন যেভাবে আসবে, এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের লগ্নি উঠে যাবে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি ঘোষণা দিলেন, রাজশাহীর পর দেশে আরও ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে। সেগুলোতেও থাকবে অত্যাধুনিক সিনেমা থিয়েটার। এগুলো সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হবে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


মন্তব্য করুন