Select Page

কেন থমকে গেল বায়স্কোপ

কেন থমকে গেল বায়স্কোপ

BapjanBG_865460876

বাপজানের বায়স্কোপ’ পরিচালক রিয়াজুল রিজুর প্রথম সিনেমা। বেশ আগেই মুক্তির কথা শোনা গিয়েছিল। সে কথা হয়তো আগ্রহীরা ভুলতেই বসেছিলেন— এমন সময় মুক্তি পেল ট্রেলার। খানিকটা আলোচনাও হলো। কিন্তু মুক্তির দ্বিতীয় দিনেই ৬টি হলের ৪টি থেকে নেমে গেল ‘বাপজানের বায়স্কোপ’।

এর পেছনে প্রধান কারণ একটু অন্য মুডের সিনেমা হলে নিয়মিত দর্শকরা গ্রহণ করেন না। আবার ‘ভালো ছবি’র জন্য নাক উচুঁ করে রাখা দর্শকরাও কেন দেখেন না— সেটাও প্রশ্ন। তবে কোনো মাল্টিপ্রেক্সে সিনেমাটি মুক্তি পায়নি— এটাও একটা কারণ হতে পারে। যে চারটি হলে থেকে সিনেমাটি নেমে গেছে, সেগুলো মধ্যবিত্ত দর্শকের কাছে ততটা পরিচিতও নয়।

অন্যদিকে মুক্তি প্রক্রিয়া ও প্রচারণাও বেশ জটিল। পরিচালকের মুখে শোনা যায়, বিভিন্ন জেলায় আকর্ষণীয়ভাবে সিনেমাটির প্রচারণা হয়েছে। অথচ সারা দুনিয়ায় সিনেমা মুক্তির তারিখ নির্মাণের আগেই ঠিক হয়ে যায়। আর বাংলাদেশে অনেক নিমার্তা দুই সপ্তাহ আগেও সিদ্ধান্ত পারেন না।

‘বাপজানের বায়স্কোপ’র ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। নভেম্বরে মুক্তি পাওয়া ট্রেলারে বলা হয় ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে। অথচ পরিচালকই নিশ্চিত করতে পারেননি অদৌ মুক্তি পাবে কি-না। মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে শোনা গেল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে। হুট করে মুক্তি দেওয়া হলো তৃতীয় সপ্তাহে।

প্রশ্ন হলো, মুভি যেমন হোক— একটা বড় পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হয়। এই সিনেমার ক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি। দর্শক সব ধরনের সিনেমা নিতে প্রস্তুত নয়। তাই লাভ-লোকসানের হিসেব করেই পরিকল্পনাটা আগাম নেওয়া দরকার। দর্শককে কিভাবে হলে ফিরিয়ে আনবেন তা সে পরিকল্পনার অংশ।

হয়ত এবার সিনেমা নিয়ে নির্মাতা বিকল্প পথ খুঁজবেন। জেলা জেলায় প্রদর্শন করবেন। এতে দর্শকও মিলবে কিছু। কিন্তু মনে রাখা দরকার সিনেমা ছোট মিলনায়তনে দেখার জিনিস না!

‘বাপজানের বায়স্কোপ’র চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। অভিনয় করেছেন সানজিদা তন্ময়, শতাব্দী ওয়াদুদ ও শহীদুজ্জামান সেলিম।

ঢালিউড টুয়েন্টিফোর জানায়, মুক্তির দ্বিতীয় দিনের মাথায় ঢাকার চম্পাকলি, অভিসার, পুনম ও মতিমহল থেকে নেমে যায় ‘বাপজানের বায়স্কোপ’। চলছে ময়মনসিংহের ‘ছায়াবাণী’ ও খুলনার ‘সঙ্গীতা’য়।

 


মন্তব্য করুন