Select Page

২০২৪ সালে হল বাড়িয়ে ৪০ করতে চায় স্টার সিনেপ্লেক্স

২০২৪ সালে হল বাড়িয়ে ৪০ করতে চায় স্টার সিনেপ্লেক্স

১৯ বছর পেরিয়ে ২০ এ পা দিলো দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্স। ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর চালু হওয়া এ মুভি চেইনের সাতটি শাখায় বর্তমানে ১৯টি হল রয়েছে। তাদের টার্গেট আগামী বছর এ সংখ্যা ৪০ এ উত্তীর্ণ করা।

১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবে শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

সেখানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের টার্গেট সারাদেশে ১০০টি হল থাকবে আমাদের। ১৯ বছরে এর সংখ্যা ২০টির মতো হয়েছে। আরেকটু বেশি হতে পারত। কভিডের কারণে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে গেছি। তবে আশা করছি ২০২৪ সাল নাগাদ আমাদের ৪০টি হল চালু থাকবে।’

স্টার সিনেপ্লেক্সের পরবর্তী শাখাগুলো হচ্ছে ঢাকার উত্তরা, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার ও বগুড়ায়। এ চারটি শাখায় ১২টি পর্দা থাকবে। এছাড়া চট্টগ্রামে আরো তিনটি হল বাড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে তাদের।

কয়েক বছর স্টার সিনেপ্লেক্সের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্দা বাড়লেও তাদের আয়ের প্রধান উৎস হলো হলিউড সিনেমা। এ বছর যুক্ত হয়েছে হিন্দি সিনেমা।

এ প্রসঙ্গে মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাকে কেন হলিউড বা বলিউডের উপর নির্ভর করতে হবে। আমি চাই বেশি বেশি বাংলা ছবি চালাতে। আমাদের এ বছরই প্রিয়তমা, সুড়ঙ্গ, প্রহেলিকা ভালো গিয়েছে। কিন্তু বছরে ৩-৪টি বাংলা ছবি দিয়ে হবে না। আমাদের দরকার কমপক্ষে ১০টি ভালো ও ব্যবসা দিবে এমন বাংলা ছবি। আর যদি তা হয় তাহলে আমি ঝুঁকি নিয়ে আরও শাখা বাড়াবো।

নতুন শাখাগুলো আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রজেকশন সিস্টেম নিয়ে আসবে স্টার। একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সিনেমা হলের মত করে লাইভ এন্টারটেইনমেন্ট অপেরা কিংবা টেইলর সুফটের কনসার্ট ইত্যাদি দেখানোর ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে তারা। এজন্য আমেরিকান একটি কোম্পানির সঙ্গে তারা কথা বলছে।

প্রতিষ্ঠানটি একটি মাত্র ছবি প্রযোজনা করেছে─ ‘ন ডরাই’। এরপর তারা ৪টি ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে প্রায় চার বছর অতিক্রম করেছে। সে ছবিগুলোর ব্যাপারে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি পারফেক্টশনিস্ট। চিত্রনাট্যগুলো আমার মনমত না হওয়া পর্যন্ত আমি শুটিংয়ে যাবো না। অবশ্যই ছবিগুলোর ব্যাপারে খুব শিগগিরই ঘোষণা দিবো।’

সন্ধ্যায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটিতে সংগীত পরিবেশনা করেন জিনাত জাহান মুন্নী ও সাব্বির। এ বছর স্টার সিনেপ্লেক্সে চলা তিনটি ছবিকে তারা বিশেষ সম্মাননা দেন─ প্রহেলিকা, অন্তর্জাল ও ১৯৭১ সেই সব দিন।

বসুন্ধরায় মাত্র ৩টি স্ক্রিন নিয়ে যাত্রা শুরু করা হলটির এখন সারাদেশে শাখা রয়েছে ৭টি। এগুলো হচ্ছে- বসুন্ধরা শপিং মল, পান্থপথ; সীমান্ত সম্ভার, ধানমন্ডি; সনি স্কয়ার, মিরপুর; এসকেএস টাওয়ার, মহাখালী; বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর, বিজয় স্মরণী; বার্লি আর্কেট, চট্টগ্রাম; হাই-টেক পার্ক, রাজশাহী।


মন্তব্য করুন