Select Page

শুধু সিনেপ্লেক্সেই দেখা যাচ্ছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে ওড়া’

শুধু সিনেপ্লেক্সেই দেখা যাচ্ছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে ওড়া’

কয়েকদিন আগে প্রিমিয়ারে সংবাদকর্মী ও বিশিষ্টজনদের কাছে তুমুল প্রশংসা পেয়েছিল ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে ওড়া’। কিন্তু মুক্তি দিতে গিয়ে হোঁচট খান নির্মাতা মুহাম্মদ কাইউম। প্রায় দুই যুগের স্বপ্ন, পাঁচ বছরের সাধনার ফসলটির রিলিজ ডেট ৪ নভেম্বর ঘোষণা করেও কোনো হল পাচ্ছিলেন না।

এ নিয়ে অনেকে কাইউমের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সিনেমা কি শুধুই ব্যবসা বা নতুন রুচি কীভাবে গড়ে উঠবে, সেই প্রশ্ন এসেছিল ঘুরেফিরে।

এত কিছু সত্ত্বেও ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে ওড়া’র পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়া কোনো সুখবর দিতে পারেনি। সাধারণত যা হয়, তা-ই হচ্ছে। ছবিটি শুধুই স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে। বসুন্ধরা সিটিতে প্রতিদিন বেলা ১১টা ও বিকেল সাড়ে ৪টায় দেখা যাবে। অর্থাৎ, প্রাইম টাইমও জোটেনি।

বিষয়টি নিয়ে নির্মাতা মুহাম্মদ কাইউম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আসলে হল মালিকদের কাছে তো এটা ব্যবসা, যে ছবিতে বেশি মুনাফা হবে, সেটাই তারা চালাবে। তাদের ধারণা হলো, এখানে কোনো তারকা নেই, বাণিজ্যিক গানবাজনা নেই; ছবি হয়ত দর্শক দেখবে না। এজন্য তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

হাওর অঞ্চলের মানুষের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। প্রধান দুই চরিত্রে দেখা যাবে উজ্জ্বল কবির হিমু ও জয়িতা মহলানবিশ।

পরিচালক কাইউম আরো বলেন, সব সিনেমা তো একই ফর্মুলায় হবে না। কারোর ছবিতে বিনোদন বেশি থাকবে, তারকা বেশি থাকবে; আমরা জোর দিয়েছি দেশের একটা জনপদ, তাদের জীবন সংগ্রাম, লোকাচার ইত্যাদির দিকে। কীভাবে তারা দারিদ্র্য, প্রকৃতি এবং দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে, সেটাই আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি। এখন হল মালিকরা যদি মনে করেন এসব ছবি বিক্রি হবে না, তাহলে তো জোর করে দিতে পারি না। তবে আমরা আরও কিছুদিন চেষ্টা করবো। এরপরও যদি দেখি কোনও হল নিচ্ছেই না, তখন নিজেদের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বিভিন্ন জায়গার অডিটোরিয়ামে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ছবিটি দেখানোর চেষ্টা করবো।


মন্তব্য করুন