Select Page

কোক স্টুডিও বাংলা: তাহসানকে বাদ দিয়ে টাকা কামাচ্ছে ভারতের সারেগামা

কোক স্টুডিও বাংলা: তাহসানকে বাদ দিয়ে টাকা কামাচ্ছে ভারতের সারেগামা

কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজনের আলোচিত দুই গান ‘শোনো গো দক্ষিণ হাওয়া’ ও ‘হেই সামালো’। অনেকদিন ধরে প্রথম গানটি কোক স্টুডিওর ইউটিউবে শোনা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ শ্রোতাদের। এরপর ভারতের সারেগামায় পাওয়া গেল গানটি। কিন্তু সেখানে নেই তাহসানের গাওয়ার মৌলিক অংশটুকু। জানা গেছে, কপিরাইটস সংক্রান্ত জটিলতায় বড় আয়োজন ও টাকা খরচ গান বানালেও তার সুবিধা নিচ্ছে ভারতের সারেগামা।

এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে।

২০২২ সালের শুরুর ‍দিকে ‘শোনো গো দক্ষিণ হাওয়া’ গানটি তৈরি আপলোড করা হয়েছিল কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে। এরপর কিছুদিন চললেও এখন আর এটি নেই স্টুডিওর ইউটিউব চ্যানেলে। তবে সেটি আছে সারেগামা বাংলার ইউটিউবে। ভারতের মধুবন্তি বাগচি ও তাহসান খানের গাওয়া এ গানটির তাহসানের অংশটি বাদ দিয়ে তারা আপলোড করেছে মাস নয়েক আগে।

বিষয়টি নিয়ে কোক স্টুডি বাংলার সঙ্গে যুক্ত জিহাদ তাহজীব বলেন, ‌‘গান দুটির স্বত্ব সারেগামা ইন্ডিয়ার। আমরা এগুলোর ডিজাইন করার পর বিষয়টি জানতে পারি। তখন আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ভারতীয় মেধাস্বত্ব আইন অনুযায়ী আমরা তাদের সঙ্গে চুক্তিও করেছিলাম। তবে তাদের চুক্তি অনুযায়ী এটি এক বছরের। প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে। আমরা গান দুটির ক্ষেত্রে আর নবায়ন করিনি। আমরা যদি চুক্তি নবায়ন না করি তাহলে তারা তাদের মতে করে আমাদের গান ব্যবহার করতে পারবে। সে অনুযায়ী গানটি এখন সারেগামা বাংলায় দেখা যাচ্ছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, জিহাদের দেওয়া বক্তব্যে কিছু অসামঞ্জস্যতাও আছে। কারণ তার মতে, চুক্তি নবায়ন না করলেই তবে সারেগামা গানটি তাদের চ্যানেলে আপ করবে। কিন্তু ‘হেই সামালো’ গানটি সারেগামা ও কোক স্টুডিও বাংলা—চ্যানেল দুটোতেই আছে। এটি ১১ মাস ধরে সারেগামা চালাচ্ছে।

‘হেই সামালো’ গানটি সলিল চৌধুরীর। কোক স্টুডিও বাংলা এতে আব্দুল লতিফের ’ওরা আমার মুখের কথা’ অংশটি যোগ করে। যা গেয়েছেন বাপ্পা মজুমদার, সামিনা চৌধুরী কণা, অর্ণব, আরমিন মুসাসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী। সারেগামা বাংলা ‘ওরা আমার’র মুখের ভাষা অংশটি কেটে বাকিটুকু প্রকাশ করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোক স্টুডি বাংলা প্রথম সিজন ঘোষণা দেওয়ার আগেই গানগুলো তৈরি করে। কপিরাইটের বিষয়টি জানতে পারার পর নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করা হয়। তবে অনড় ছিল সারেগামা। সেসময় বিস্তারিত গবেষণা ছাড়াই গান নির্বাচন করে কোক স্টুডিও বাংলা। যার মাশুল দিতে হয়, লাখ লাখ টাকা খরচ করে তৈরি ভিডিওটি হাতছাড়া করে।

এখন সারেগামার চুক্তি নবায়ন করে গানগুলো বছর বছর নিজের চ্যানেলে রাখার বাড়তি খরচ আর করতে চায় না কোক বাংলাদেশ। এরচেয়ে নতুন গান তৈরিতে খরচ করতে চায়।

সারেগামাও গানের স্বত্বের বিষয়ে এক চুল ছাড়তে দেবে না। তাই নিজের শিল্পী, সেটে তৈরি গান দুটি থাকছে অন্যের চ্যানেলে। কোক স্টুডিও বাংলাও পুরনো ভুল এড়াতে চায়। তৈরি করতে চাচ্ছে কপিরাইট মুক্ত গান!


মন্তব্য করুন