Select Page

চালচলনে ‘মুসলমানি ছাপ’ থাকায় কলকাতায় সমস্যায় পড়েন অঞ্জু ঘোষ!

চালচলনে ‘মুসলমানি ছাপ’ থাকায় কলকাতায় সমস্যায় পড়েন অঞ্জু ঘোষ!

ঢাকা-কলকাতার ভাষা এক হলেও সংস্কৃতিতে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। এমনকি কথা বলার ধরনও আলাদা। যা প্রায় সময় মুসলমান ও হিন্দুর সংস্কৃতি বলে বিবেচিত হয়। আর এ কারণে ধর্মে হিন্দু হয়েও নাকি কলকাতায় বিপত্তিতে পড়েছিলেন অঞ্জু ঘোষ। সম্প্রতি এ কথা জানালেন তার এক সময়কার সহশিল্পী চিরঞ্জিত।

জানা যায়, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ অবিস্মরণীয় সাফল্যের পর কলকাতায় অঞ্জু হয়ে ওঠেছিলেন প্রযোজকদের আস্থা। অঞ্জু ঘোষ মানেই ব্যবসাসফল সিনেমা। এ কারণে টলিউডে ঈর্ষার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘মুসলমানের বেটি’ তকমা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলাকে চিরঞ্জিত বলেন, ‘আমার সঙ্গে যখন অঞ্জু কাজ করেছিলেন, তার খুবই ডিমান্ড ছিল। কিন্তু এটা সত্যি এখানকার লোকজনের মনে হয়েছিল, তিনি হিন্দু টাইপ নন। কথাবার্তা, চালচলনের মধ্যে মুসলমান ছাপ ছিল। বাংলাদেশের নিজস্ব একটা ছাপ থাকে শিল্পীদের শরীরে। সেটা অঞ্জুর মধ্যেও ছিল। অনেক বড় স্টার ছিলেন তিনি। ফলে সেই কারণে তার সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে একটা কুণ্ঠাভাব চলে এসেছিল ইন্ডাস্ট্রির অনেকের মধ্যে।’

অন্যদিকে, চলচ্চিত্র দুনিয়া থেকে সরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জু ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘জাতি-জাতি করে একটা হিড়িক উঠেছিল–ও হিন্দু, ও মুসলমান! আমি এর মধ্যে পড়তে চাইনি। ক্যারিয়ারে ৩৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছি। তার মধ্যে ২০০টা ছবি ছিল বাংলাদেশের। হিন্দুর মেয়ে হয়েও সেই ২০০ ছবিতে কালেমা পড়ে অভিনয় করেছি। সেজেছি মুসলমানের বেটি। কিন্তু বাংলাদেশ আমাকে বলল, ‘হিন্দুর বেটি’। অন্যদিকে এখানে (কলকাতা) যখন এলাম আমার গোটা প্রেজেন্টেশন দেখে ভারত বলল, ‘আমি মুসলমানের বেটি’। ফলে হল কী, আমি ওপারে সংখ্যালঘু, এপারেও সংখ্যালঘুই থেকে গেলাম।’’


মন্তব্য করুন