Select Page

জায়েদ খান যখন ‘মডেল জয় নায়ক হতে চান’

জায়েদ খান যখন ‘মডেল জয় নায়ক হতে চান’

২০০৬ সালে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় পা রাখেন জায়েদ খান। মহাম্মদ হান্নানের পরিচালনায় মূল চরিত্রে ছিলেন শাবনূর ও রিয়াজ। এরপর গত ১৭ বছরে অর্ধশত সিনেমা করেছেন। কিন্তু মালেক আফসারীর ‘অন্তর জ্বালা’ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো কাজে তাকে পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই কিস্তিতে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত হন। সর্বশেষ নির্বাচনে একই পদ নিয়ে নিপুণ আক্তারের সঙ্গে মামলা চললেও তার প্রভাব একটুকুও কমেনি।

এর বাইরে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড, মন্তব্য ও সোশ্যাল মিডিয়া ট্রল তাকে সব সময় আলোচনায় রাখে।  

সম্প্রতি পুরোনো একটি ম্যাগাজিনের রিপোর্ট ভাইরাল হয়েছে। যেখান থেকে জানা যায়, জায়েদ খান সিনেমায় নাম লেখানোর আগে ‘জহিরুল হক জয়’ নামে পরিচিত ছিলেন। এ নামে কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন। তিনি প্রয়াত গায়ক খালিদ হাসান মিলুর ভাতিজা। তবে কেমন ভাতিজা তা উল্লেখ করা হয়নি।

ওই রিপোর্ট থেকে জানা যায়, নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান জায়েদ। বলা যায়, ভাইরাল ও ট্রল সংস্কৃতির দিক থেকে নায়ক হিসেবে সফল। যা তার বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডকে ছাপিয়ে গেছে।

‘মডেল জয় নায়ক হতে চান’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “জহিরুল হক জয় সংস্কৃতি জগতে নতুন। তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাতা আহমেদ ইউসুফ সাবেরের পরিচালনায় একটি এনার্জী ড্রিংক’র বিজ্ঞাপনের মডেল হন। এর পর পুষ্টি গুড়ো দুধ, তৃষ্ণা মিনারেল ওয়াটার, ব্রিটল বিস্কুট ও কুল সেভিং ক্রীম’র বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ব্রিটল বিস্কুটের বিজ্ঞাপন তাকে বেশি পরিচিত করে তুলেছে। ‘ইউ গট দ্য লুক’ প্রতিযোগিতায় জয় দশজন সুন্দরের মধ্যে একজন নির্বাচিত হয়েছিলেন।”

জায়েদ খানের পরিচিতি সম্পর্কে বলা হয়, “পিরোজপুরের ছেলে জয়। তার চাচা গায়ক খালিদ হাসান মিলু। চাচার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে করতে তার ইচ্ছে হয় সংস্কৃতি জগতে আসার এবং কিছু একটা করার। তিনি মাঝে মধ্যে উপস্থাপনা করেন। তার প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা হলেন হুমায়ূন ফরীদি ও শমী কায়সার। প্রিয় শিল্পী খালিদ হাসান মিলু এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী ও কনকচাঁপা।”

প্রতিবেদনে লেখা হয়, “জহিরুল হক জয়ের শখ হচ্ছে মডেলিং করা। টেলিভিশনে অনেক কিছু করলেও তিনি সিনেমায় অভিনয় করতে চান এবং সেজন্য নানা রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তার আগে লেখাপড়া শেষ করতে চান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ে অনার্স পড়ছেন। মডেল হবার ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করেছেন মডেল ও অভিনেতা পল্লব ও চিত্রনায়ক আসিফ ইকবাল।”

সম্প্রতি সরকারি খরচে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার কথা ছিল। উড়োজাহাজের টিকিটও কেনা হয় আগে-বাগে। তবে ফ্রান্স সরকার ভিসা না দেয়ার সেই সফর ভেস্তে যায়।


মন্তব্য করুন