Select Page

দুর্বল ‘অন্তর্জাল’ ও বাজে ‘মোবারকনামা’  

দুর্বল ‘অন্তর্জাল’ ও বাজে ‘মোবারকনামা’  

অন্তর্জাল: বিগ বাজেট দুর্বলতা

বর্তমান সময়ে চাঁনকপালী যে দুজন চলচ্চিত্র নির্মাতা আছেন, দীপংকর দীপন তাদের একজন। একের পর এক বস্তাভরা বাজেটের সিনেমা করে যাচ্ছেন। ‘অর্ন্তজাল’ তেমনই একটি চলচ্চিত্র। ওয়ার্ল্ড ক্লাস গ্রাফিক্স (আকাশে বিমানের দৃশ্য ছাড়া), দুর্দান্ত ফ্রেমিং ও গর্জিয়াস কালার সবই আছে।

পাশাপাশি ভয়াবহ দূর্বল অভিনয়, ভয়াবহ দুর্বল সংলাপ, ভয়াবহ দুর্বল ডাবিং, ভয়াবহ বাজে এক্সপ্রেশন, ভয়াবহ বাজে গানের দোষও দিতে হবে। 

শেষের ছোট্ট টুইস্ট ছাড়া তেমন কিছুই নাই। এবিএম সুমন ও বিদ্যা সিনহা মিম একটু অভিনয়-টভিনয় করলেও বাকিদের পাতেই তোলার উপায় নাই। রওনক হাসানের মতো অভিনেতাকেও ডাউন করে ফেলা হলো কোনো এক দুর্বলতায়। কোথায় সেই দুর্বলতা! কোন সেক্টরগুলো ফেইল করেছে!

মোবারকনামা: অনেকগুলো বাজে ও দুটো চমক

ভারতে যখন নানাভাবে নারীত্বের জয়গান দেখানো হচ্ছে সামাজিক ভাইরাসকে প্রতিহত করতে, সেখানে বাংলাদেশ হাঁটছে উল্টোপথে। গোলাম সোহরাব দোদুল নারীত্বের জয়গান গাইতে গিয়ে পর্দা ভরা মন্দ নারী হাজির করেছেন। নারীকে বাজেভাবে পর্দায় হাজির করে, তারপর তার জয়গান গাওয়াটা দ্বিচারিতা। অথচ দোদুল সম্পর্কে যতটুকু জানি, তিনি অনেক বেশি পজেটিভলি সেনসেটিভ মানুষ। তাহলে এই ভুল ভাবনায় প্রজেক্ট কেন করলেন বুঝতে পারছি না!

মোবারকনামা’র আরেকটা দৃষ্টিকটু বিষয় হচ্ছে মোশারফ করিমকে নিয়ে খেলতে না পারা। মনে হয়েছে মোশারফের নামের উপর বৈতরণী পার হবার চেষ্টা যেন! মোশারফ করিমকে পুরো অপচয় করা হয়েছে। এখানে অন্য কেউ হলেও কোনো ক্ষতি হতো না। সেই সাথে খুব যেন তাড়াহুড়া ছিল।

তবে সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে, জেনি। স্ক্রিনে আসার পর থেকে অসাধারণ দক্ষতায় পুরো ফোকাস দখলে রেখেছিলেন। শবনম ফারিয়াও ছোটছোট দৃশ্যে এসে আলো জ্বালিয়ে গেছেন। দুজনই ভালো অভিনেত্রী। তবে মোশারফ করিম স্পার্ক না করায় বা যথাযথ সাপোর্ট দিতে না পারায় দুজনকেই অসহায় মনে হয়েছে। অন্যদিকে শাহনাজ সুমি চোখের যথোপযুক্ত ব্যবহার করেছেন।

মোবারকনামা’র আরেকটা দুর্বলতা হচ্ছে গল্পের বিল্ডআপ নাই। হুটহাট দৌঁড়েছে।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত

নির্মাতা, লেখক ও উদ্যোক্তা .... “নিজের টাকায় টিকিট কেটে সিনেমার দেখি অধিকার নিয়ে দেই তালি বা গালি”

মন্তব্য করুন