Select Page

‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী সালমান খানের ফ্লপ সিনেমা

‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী সালমান খানের ফ্লপ সিনেমা

ঈদ ফিতরে মুক্তি পাওয়া সালমান খান অভিনীত ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ বক্স অফিসে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দুর্বল চিত্রনাট্য, অভিনয় ও নির্মাণের কারণে কড়া সমালোচনার মুখে পড়া ছবিটি এরই মধ্যে ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে। আর সেই সিনেমা এবার দেশে মুক্তি দিচ্ছেন অনন্য মামুন। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পাচ্ছে মাসুদ রানা সিরিজ অবলম্বনে নির্মিত যৌথ প্রযোজনার ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমাকে।

আগামী শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি। ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এর আমদানিকারক মেসার্স এন ইউ আহম্মদ ট্রেডার্স। অন্যদিকে ‘এমআর নাইন’-এর অন্যতম প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়া।

গত ১২ মে বাংলাদেশের মুক্তি পায় শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’। ব্যাপক পরিসরে মুক্তি পেলেও মূলত ব্যবসা করে মাল্টিপ্লেক্সে। এক মাসে দুই কোটি সাত লাখ টাকার টিকিটও বিক্রি হয়। শাহরুখের সিনেমাটিও ততদিন ওটিটিতে চলে এসেছিল। তবে এবার সালমানের ছবি নিয়ে ততটা আলাপ নেই। আগ্রহও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাল্টিপ্লেক্সগুলোর। জানা গেছে, দুটি সংস্করণে মুক্তি পাবে ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’। এর মধ্যে ইংরেজি সংস্করণটি ২৫ আগস্ট মুক্তি পাবে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। অন্যদিকে বাংলা সংস্করণ সেন্সর ছাড়পত্র না পাওয়ায় এর জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের দর্শকদের আরো এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ততদিন সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ওয়াশআউট হয়ে যাবে।

২৫ আগস্ট বাংলাদেশের পাশাপাশি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দেড় শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ‘ডু অর ডাই’।

ছবিটির উত্তর আমেরিকা পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর চেয়ারম্যান সজীব সপ্তক খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “ছবিটি এক যোগে ১৫১টি সিনেমা হলে চলবে। এর আগে আমরা কখনো ১০০ থিয়েটারের বেঞ্চমার্ক ছুঁতে পারিনি। সবচেয়ে বেশি কাছে গিয়েছিল ‘পাপ পুণ্য’, ৯১ থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এরপরের স্থান ‘হাওয়া’র। সেটি ৮৮টি থিয়েটারে চলেছে।”

তিনি জানান, এ বড় আকারের মুক্তি মাল্টিপ্লেক্স চেইন রিগ্যালের কোনো হল নেই। অনিবার্য কারণবশত তারা এ সপ্তাহে ছবিটি চালাতে পারছে না। তবে তারা বলছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে হলে ‘এমআর-৯’ চালাতে পারবে। সেক্ষেত্রে সিনেমা হলের সংখ্যা আরও বাড়বে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টমিডিয়ার দাবি, ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ ছবিটি তৈরি হয়েছে। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন।

জাজ মাল্টিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী আবদুল আজিজ জানান, ‘এমআর–৯: ডু অর ডাই’র ইংরেজি ভার্সন সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। এটি দেশের সবগুলো সিনেপ্লেক্সে ২৫ আগস্ট থেকে চলবে। বাংলা ডাবিং করা অংশ যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেন্সর পায়, তবে এ সপ্তাহে সিঙ্গেল স্ক্রিনেও চলবে। নইলে পরের সপ্তাহ থেকে চলবে।

‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউড নির্মাতা আসিফ আকবর। ছবিতে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের মধ্যে অভিনয় করেছেন ফ্র্যাঙ্ক গ্রিলো, বলিউড অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান, হলিউড অভিনেতা নিকো ফস্টার, বলিউড অভিনেতা ওমি বৈদ্য, হলিউড অভিনেতা ওলেগ প্রুডিয়াস ও আমেরিকান মডেল-অভিনেত্রী জ্যাকি সিগেল প্রমুখ। আরও আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম, আলিশা।

ছবিটিতে জাজ ছাড়াও বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস ও আল ব্রাভো ফিল্মস। নির্মাতা আসিফের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ।


মন্তব্য করুন