Select Page

‘প্রিয়তমা’র চিত্রনাট্যকারকে স্মরণ করে ‘কী অসাধারণ এক লাভ-ট্রাজেডি গল্প!’

‘প্রিয়তমা’র চিত্রনাট্যকারকে স্মরণ করে ‘কী অসাধারণ এক লাভ-ট্রাজেডি গল্প!’

হিমেল আশরাফের প্রথম ছবি ‘সুলতানা বিবিয়ানা’র চিত্রনাট্যকার ছিলেন প্রয়াত ফারুক হোসেন। ঈদ মুক্তি প্রতিক্ষীত ‘প্রিয়তমা’র স্ক্রিপ্টও তার লেখা। এই প্রসঙ্গে তার কথা স্মরণ করলেন নির্মাতা সৈকত নাসির ও চিত্রনাট্যকার আসাদ জামান।

শাকিব খানের নতুন ছবিটির ধরন এতদিন অজানা থাকলেও সৈকত নাসিরের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা গেল, এটি লাভ-ট্রাজেডি ধাঁচের।

এ নির্মাতা লেখেন, “সবাই ক্লাসিক সিনেমা বানিয়ে একের পর এক অ্যাওয়ার্ড নিয়ে ঘরের শোকেস ভরে ফেলুক। আমরা বাণিজ্যিক সিনেমা বানিয়েই অ্যাওয়ার্ড নিব ইনশাল্লাহ – আমি যখনই হতাশ হতাম ফারুক হোসেন ঠিক তখনই এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করত আমাকে ইন্সপায়ার করার জন্য। আমরা নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতাম। আমরা এমন সব  টপিক নিয়ে আলোচনা করতাম যা মনে পড়লে হাসি পায়। ফারুক নিখোঁজ হওয়ার আগে সর্বশেষ যে গল্পটি নিয়ে কাজ করছিল সেটা ছিল ‘পুলিশগিরি’, কক্সবাজারে থেকে ঘুরে এসে শেষ দৃশ্যটা লেখার কথা ছিল। (পরবর্তীতে আসাদ জামান শেষ করেছেন গল্পটি)। ফারুকের লেখা গল্প ‘প্রিয়তমা’ আমাকে শুনিয়েছিলেন আমার বাড়ির ছাদে। কী অসাধারণ এক লাভ-ট্রাজেডি গল্প! ফারুকের গল্পের সিনেমা কখনই খারাপ হতে পারে না। আমি শুধু পরিচালক হিমেলকে একটি কথাই বলব। ফেসবুকবাসির চাহিদায় অযথা দৃশ্য যেন সে সংযুক্ত না করে। হিমেল আশরাফ চমৎকার একজন নির্মাতা, ফারুকের খুব পছন্দের বন্ধু এবং নির্মাতা। চমৎকার একটি কাজ দেখার অপেক্ষায় আছি।”

অন্যদিকে চিত্রনাট্যকারদের প্রতি মিডিয়ার অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার আসাদ জামান।

তিনি লেখেন, “ফিল্ম রাইটার ফারুক হোসেনের সাথে আমার পরিচয় ভাই বন্ধু সৈকত নাসিরের সুত্রে। এর আগে ওনার ডেব্যু হয়ে গেছে হিমেল আশরাফের সিনেমা ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ দিয়ে। এর কিছুদিন পরেই সম্ভবত বছর খানেকের মধ্যেই সমুদ্রে নিখোঁজ হন ফারুক হোসেন। তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৃত বা নিখোঁজ একজন ফিল্ম রাইটারের লেখা সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ আসছে এই ঈদে। তাকে কেউ চেনে না, জানে না, তাকে নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই নিউজ এজেন্সি বা ভিউটারদের, এই ভূখণ্ডে রাইটারদের জীবন এক ট্র্যাজিক অবহেলা ছাড়া কিছুই না। বেঁচে থাকলেও নোবডি কেয়ার্স আর মরে বা নিখোঁজ হলে ধুরছাই। ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা নিয়ে আমার উচ্ছ্বাস, আগ্রহ বা দেখার ইচ্ছা পুরোটাই ফারুক হোসেনের জন্য, তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই যাব সিনেমাহলে। হতেও পারে সিনেমার কোন ফ্রেমে গোপনে উঁকি দিয়ে যাবেন একজন নিখোঁজ ফিল্ম রাইটার।”

২০১৫ সালের ১৯ জুলাই কক্সবাজারে সৈকতে নামেন ফারুক হোসেন। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই সময় নৌকায় তার সঙ্গে ছিলেন নির্মাতা মৃত্তিকা গুণসহ কয়েকজন বন্ধু।


মন্তব্য করুন