Select Page

সালমান-মৌসুমী একই স্কুলে পড়তেন, ভিন্ন তথ্য দিলেন নীলা চৌধুরী

সালমান-মৌসুমী একই স্কুলে পড়তেন, ভিন্ন তথ্য দিলেন নীলা চৌধুরী

সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির মাধ্যমে ঢালিউড পেয়েছিল সালমান শাহমৌসুমীকে। এই নায়িকা বিভিন্ন সময়ে বলে এসেছেন সালমানের সঙ্গে একই স্কুলে পড়তেন। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তির ৩০ বছর পূর্তিতে একই কথা বললেন নায়িকা। তবে তা অস্বীকার করলেন নায়কের মা নীলা চৌধুরী। দুটি প্রতিবেদনই প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে।

মৌসুমী বলেছিলেন, তখন আমরা খুলনায় থাকতাম। ছোটবেলায় ইমন (সালমান শাহ) আর আমি প্লে গ্রুপ ও নার্সারিতে একসঙ্গে পড়েছি। বাবার চাকরির কারণে ইমনের পরিবার খুলনা সার্কিট হাউসে থাকত। ওই স্কুলে আমার ফুফু ছিলেন টিচার। ফুফুর ছুটি হওয়া পর্যন্ত ইমনদের বাসায় আড্ডা দিতাম। সে–ও আমাদের বাসায় যাওয়া-আসা করত। ভালো বন্ধুত্ব হয়। এরপর হঠাৎ ওরা ঢাকায় চলে আসে।

প্রথম চলচ্চিত্রের সহশিল্পী ছোটবেলার বন্ধু, ব্যাপারটি কেমন ছিল? এমন প্রশ্নে বলেন, বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর দেখা হওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা থাকে, তা ছবিটি করতে গিয়ে নতুন করে টের পাই। ছবির কাজ করার সময় আমাদের দেখা হয়। আবেগাপ্লুত হলাম। অল্প কদিনেই আমাদের সম্পর্ক আবার আগের রূপ নেয়। নিজেদের সবকিছুই একজন আরেকজনকে বলতাম। আমাদের বন্ধুত্ব নিয়ে তো পরিচালক সোহান ভাই ভুল বুঝতেও শুরু করেন। তিনি ভাবলেন, আমরা একজোট হয়ে গেছি।

কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবি উপলক্ষে আপনাদের প্রথম দেখা কোথায় হয়েছিল? মৌসুমীর উত্তর, নব্বই দশকে ম্যাকডোনাল্ড চায়নিজ নামে ধানমন্ডিতে একটি রেস্তোরাঁ ছিল। পরিচালক সোহান ভাইসহ অপেক্ষা করছি। ঘাড় ঘুরিয়ে হঠাৎ দেখি কোচিংয়ের সেই ছেলেটা। এভাবে একজন লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি কী ভাববে, ভেবে আমি মুখটা লুকাই। দেখলাম, ও আর সামনে আসছে না। সে হয়তো ভাবছিল, আমিও সন্দেহ করছি। আর আমি ভাবলাম, ও কারও সঙ্গে ডেট করতে এসেছে। সোহান ভাইয়ের তো মাথায় টাক। একজন বয়স্ক লোকের সঙ্গে আমি কেন এখানে—এ প্রশ্ন সে মনে মনে ভাবতেই পারে। এমন সময় সোহান ভাইকে বললাম, কই আপনার হিরো? এই ছেলেটা আপনার হিরো নাকি? ঘাড় ঘুরিয়ে বললেন, এই ইমন (হাসি)। এ যেন বাস্তবেও চলচ্চিত্র। (হাসি)

পুরো বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত দেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার শুটিং থেকে ফিরে নিয়মিত মায়ের কাছে গল্প করতেন সালমান। একবার মৌসুমীকে শুটিংয়ের সময় কোলে নিতে গিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন, সেই গল্পও শুনিয়েছিলেন। কিন্তু নীলা চৌধুরী বুঝতে পারেন, কোনো কারণে মৌসুমীকে অপছন্দ করেন সালমান।

তিনি বলেন, ‘সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর একবার মৌসুমী এসেছিল আমাদের বাসায়। তখনই প্রথম মৌসুমীকে দেখি। এর আগে সিনেমার শুটিংয়ের সময়ও সালমানের মুখে মৌসুমীর কথা তেমন শুনিনি। সেই মৌসুমী এখন বলছে, ইমন তার বাল্যবন্ধু ছিল। খুলনায় তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছে। এটা হাস্যকর একটা কথা।’

নীলা চৌধুরী আরও জানান, তাদের বয়সের ব্যবধান তো ৬ থেকে ৭ বছরের বেশি। তা ছাড়া তিনি সেই সময় কখনোই মৌসুমী নামের কাউকে চিনতেন না। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে তো খুলনায় কোনো স্কুলে পড়ে নাই। তখন ইমনের বয়স সাড়ে পাঁচ বছর হবে। ওর বাবার পোস্টিং ছিল সেখানে। আমরা তাকে অনেক দিন পর্যন্ত বাড়িতেই পড়াতাম। অনেক বই তার মুখস্থ ছিল। আমার ছেলেকে সবাই পছন্দ করত, সে ভালো গান করত, তাকে দুই–এক দিন হয়তো কোনো স্কুলে শিক্ষকদের অনুরোধে নিয়ে গিয়েছি, এই যা। কিন্তু সালমানের কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল, সেটা আমি মা, আমি ভালো জানি। এটা নিয়ে মৌসুমী সত্য বলেনি। সালমানও তো কোনো দিন বলে নাই মৌসুমী তার বন্ধু ছিল। এখন সালমান মরে যাওয়ার পর কেন তার সঙ্গে আড্ডা দিত, এসব প্রসঙ্গ আসছে।’


মন্তব্য করুন